অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার সরকার জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এবং এজন্য পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনা হবে।
গতকাল (বুধবার) তিনি জেরুজালেম শহরে এক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, ইসরাইল আর কোনভাবেই বিশ্ব সম্প্রদায়ের দাবি পূরণ করার জন্য মাথা নত করবে না।
পরিবর্তিত পররাষ্ট্র সম্পর্ক ঘোষণা করে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের কণ্ঠ সারা বিশ্বে শোনা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকনির্দেশনার পরিবর্তে আমরা আমাদের স্বার্থকে গর্বের সাথে ঊর্ধ্বে তুলে ধরব।”
নেতানিয়াহু তার বক্তৃতায় সুনির্দিষ্ট করে কোন দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি ইঙ্গিত করেননি। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান সংঘাতের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেননি। তবে ইসরাইলের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসরাইল এ ব্যাপারে তেমন কোন কিছুই বলবে না, শুধুমাত্র ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মানবিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরাসরি কথা বলবেন বলেও জানান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইল মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন আসবে না এবং তিনি এই সম্পর্ককে তেল আবিবের জন্য শীর্ষ অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে মস্কো এবং তেলাবিবের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ গোলযোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন। জবাবে রাশিয়া ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ অগঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেছিল।
Leave a Reply